গণতন্ত্র | ন্যায়বিচার | অধিকার | জাতীয়স্বার্থ
Flag_of_gop
জনতার অধিকার – আমাদের অঙ্গিকার

গণতন্ত্র | ন্যায়বিচার | অধিকার | জাতীয়স্বার্থ
জনতার অধিকার – আমাদের অঙ্গিকার

গণঅধিকার পরিষদ পাবনা জেলা শাখা ।

Edit Content

About Us

We must explain to you how all seds this mistakens idea off denouncing pleasures and praising pain was born and I will give you a completed accounts off the system and expound.

Contact Us

গণঅধিকার পরিষদ পাবনা জেলা শাখা ।
 আ.লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারে দাবিতে দেশব্যাপী গণঅধিকার পরিষদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা-

১১-০২-২০২৫ ইং

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

আ.লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারে দাবিতে দেশব্যাপী গণঅধিকার পরিষদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা/

অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাসেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দ্রুব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসেনি/

একেরপর এক আন্দোলন সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেলানোর শামিল/

রাষ্ট্র সংস্কার করতে চাইলে সবার আগে উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার করতে হবে/

একদিকে সরকারে আ.লীগের পুনর্বাসন, অন্যদিকে আওয়ামী নিধনের গল্প সরকারের দ্বিচারিতার বহিঃপ্রকাশ/

সচিবালয়, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ প্রশাসন ও সরকারের সব সেক্টরে আওয়ামী সুবিধাভোগীরা রয়েছে/

আ.লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারে গণঅধিকার পরিষদ কোন আপোষ করবেনা: রাশেদ খাঁন

গণহত্যার দায়ে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সংবাদ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। আজ দুপুর ১২.০০ টায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, আলরাজি কমপ্লেক্সে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন।

লিখিত বক্তব্যে রাশেদ খাঁন বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমতার গ্রহণের পর থেকে একেরপর এক আন্দোলন সরকারের স্থিতিশীলতার পথে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন স্থানে বুলডোজার দিয়ে ধানমন্ডি ৩২ সহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। যেখানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, সেখানে কোন আ.লীগ নেই। অথচ সচিবালয়, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ প্রশাসন ও সরকারের সকল সেক্টরে যেসব আওয়ামী সুবিধাভোগীরা রয়েছে, তারা বহাল তবিয়তে। গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাস পরেও সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে এই ধরনের ঘটনা সরকারের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ ও সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেলানোর শামিল। এতে প্রমাণিত হয় যে, হয় সরকারের প্রত্যক্ষ ইন্ধন /সহযোগিতায় এসব ঘটনা সংগঠিত হয়েছে, অথবা সরকার এসব নিয়ন্ত্রণ করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের মনে প্রশ্ন, সিটি করপোরেশন বা সরকারি বুলডোজার কারা সরবরাহ করলো? এই ঘটনার কারণে বাংলাদেশ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে নেতিবাচক বার্তা গেছে; ১। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকার বাংলাদেশকে এখনো স্থিতিশীল করতে পারেনি, ২। বিদেশি বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা কম, ৩। গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানিতে বিদেশি ক্রেতার সংকট ৪। বাংলাদেশে অবস্থানরত ও আসতে আগ্রহী বিদেশি পর্যটকরা আতঙ্কিত হতে পারে ইত্যাদি।

প্রিয় দেশবাসী,

গাজীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হওয়ার পরে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো সেনাবাহিনীর কাছে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের অবস্থান সম্পর্কে জানিনা। বড় বড় ডেভিলরা তো পালিয়ে গেছে। ওবায়দুল কাদের ৩ মাস নিরাপদে অবস্থান করার পরেও কেন তাকে গ্রেফতার করা যায় নি? আওয়ামীলীগের হাইকমান্ড ও শেখ পরিবারের সদস্যরা কাদের সহায়তায় দেয় ছেড়েছে? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি এসব তদন্তে কোন কমিটি গঠন করেছে? না করার রহস্য সম্পর্কে আমরা জানতে চাই। অপারেশন ডেভিল হান্টকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু এর মাধ্যমে যেন, আওয়ামীলীগের সাধারণ ও নিরীহ কোন কর্মীসমর্থক হয়রানি না করা হয়। শুধুমাত্র অপরাধীরাই যেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের অন্তর্ভুক্ত হয়। অন্যথায় গণগ্রেফতার ও গণহয়রানি শুরু হলে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এই সুযোগে মামলাবাজি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটতে পারে।

প্রিয় দেশবাসী,

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দ্রুব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং শতাধিক পণ্যের উপর ভ্যাট ট্যাক্স বাড়িয়ে জনগণের পেটে লাথি মারা হয়েছে। সরকার যতোই জনসমর্থন নিয়ে গঠিত হোক না কেন, নিত্যপণ্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতা মধ্যে আনতে ব্যর্থ হলে জনসমর্থন জনক্ষোভে পরিণত হবে। সামনে পবিত্র মাহে রমজান, মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম, লোডশেডিং ও গ্যাসের সংকটের দিকে সরকারকে গভীর মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান করছি।

প্রিয় দেশবাসী,

ইতোমধ্যে উপদেষ্টারা নতুন রাজনৈতিক দলের প্রতি নিজেদের আর্শীবাদ ব্যক্ত করে এবং নতুন রাজনৈতিক দল করতে আগ্রহীদের নানা কর্মসূচিতে ধারাবাহিকভাবে উপস্থিত হয়ে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখোমুখী করেছে। এজন্যই বিভিন্ন জায়গা থেকে আগামী নির্বাচন নতুন তত্বাবধায়ক সরকারের অনুষ্ঠিত করার দাবি উঠছে। আমরা সরকারকে বলবো, গণঅভ্যুত্থানে এই দেশের সকল শক্তি অংশগ্রহণ করেছে। কোন একটি অংশের কাছে আপন হতে গিয়ে বাকিদের কাছে বিরাগভাজন হবেন না। আপনারা সবার, সবার সাথেই আপনাদের আচরণে নিরপেক্ষতা প্রয়োজন। নতুন যারা দল করতে চায়, আমরা তাদেরকে সাধুবাদ ও স্বাগত জানাই। তবে আপনাদের পৃষ্ঠপোষকতায়, সহযোগিতায় ও আর্শীবাদে নতুন কোন দল গঠিত হলে, আপনারা নিজেদের অবস্থান হারাবেন।

প্রিয় দেশবাসীর,

গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে গণহত্যায় অভিযুক্ত সংগঠন হিসেবে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬৪ জেলায় ডিসির মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। শীঘ্রই কেন্দ্রীয়ভাবেও সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। ৭১ এর পর আওয়ামীলীগ একবার গণহত্যায় মেতে ওঠে, পরবর্তীতে শেখ হাসিনা ২০২৪ সালে ২য়বারের মত গণহত্যা পরিচালনা করে হিটলারের নামের সাথে নিজেকেও সারা দুনিয়ার কাছে গণহত্যাকারী, খুনি ও ফ্যাসিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। এই দেশের জনগণ চায় না আওয়ামীলীগের ব্যানার ৩য় বার গণহত্যার সুযোগ থাকুক।

প্রিয় দেশবাসী,

গণঅধিকার পরিষদ শুরু থেকেই গণহত্যার বিচারে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিকাল ৩.৩০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ, ঢাকা মহানগর বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। এছাড়া জনগণকে গণহত্যার বিচারে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে দেশব্যাপী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করা হবে। এছাড়া ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলায় জেলায় ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা।

গণঅধিকার পরিষদের ৫ দফা:

১/ জুলাই – আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিগত ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি, ক্ষতিপূরণ এবং যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।

২/ জুলাই গণহত্যায় জড়িত বিদেশে পলাতক গণহত্যার মাস্টারমাউন্ড শেখ হাসিনাসহ সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় গণহত্যার সাথে জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৩/ ফ্যাসিবাদের আমলে উন্নয়নের নামে লুটপাট, অর্থ পাচারে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করা।

৪/ জন-আকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণে রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে কার্যকর সংস্কার নিশ্চিতে অভ্যুত্থানের অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুর্নগঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।

৫/ বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার রেজিমে সংগঠিত গুম-খুন ও ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ভূয়া নির্বাচনের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সহ- সভাপতি ও উচ্চতর পরিষদ সদস্য ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, হাবিবুর রহমান রিজু, সহ সভাপতি মাজেদুল ইসলাম,যুগ্ম সাধারণ জিলু খান,আবদুল্লাহ,প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুব ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া,যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম প্রমুখ।

See insights and ads

Boost post

All reactions:

99